
রাজনীতিবিদদের প্রতারণা দেখেছেন জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা যেভাবে অতীতকে বর্তমানের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি, সেভাবেই আপনাদের বর্তমান ভবিষ্যতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয়ের পথপরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমানে রাজনীতিবিদরা সংসদভবনমুখী হচ্ছেন; শীঘ্রই হবেন-যাবেন, মিনিস্ট্রি দখল করবেন, গাড়িতে পতাকা উড়বেন; কোনো সমস্যা নেই। আমরা রক্ত দিয়েছিলাম যাতে যাদের গাড়িতে পতাকা ওঠার যোগ্য, তারাই আসে। তবে আপনারা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন সেটা আমরা দেখছি।
অনুষ্ঠানে ‘৪৭, ‘৭১ এবং ‘২৪-এর বিজয়ের পরিক্রমার শিরোনামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪৭ এ বিজয় হলে ৭১ হত না, একাত্তরে বিজয় হলে ২৪ হত না। এটা বিজয়ের পরিক্রমা না, জাতির প্রতারণার পরিক্রমা। আমরা ৪৭, ৭১ এ প্রতারিত হয়েছি। ২৪ এ প্রতারিত হচ্ছি কিনা সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বারবার প্রতারিত হওয়ায় চব্বিশের অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যে সংবিধান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, সেই সংবিধানের প্রতি ৫ আগস্ট পরে কিছু রাজনীতিবিদদের বিশাল মমত্ববোধ তৈরি হয়েছে। এটা জাতিকে আবার প্রতারণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
১৯৭২ সালে সংবিধানকে ‘স্রেফ একটা গার্বেজ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে এই সংবিধান থেকে আসছে রাষ্ট্রপতির দাওয়াত ছিল। ৫ আগস্ট এই সংবিধান শেষ, রাষ্ট্রপতিও শেষ। ফলে ওনার দপ্তর থেকে দাওয়াতে আমি গেলে আমার সঙ্গে প্রতারণা। আজকে যারা রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে গিয়েছে, তারা বিপ্লবে বিশ্বাস করে না অথবা তারা মনে করে, সংবিধানে তাদের একটা স্টেক আছে।
ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার।
এ ছাড়া সভায় বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আসার কথা থাকলেও আসেননি।