
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনা রহস্যে ঘেরা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করার সুযোগ আছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জামায়াতে ইসলামির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে তাদের অবদান স্মরণ করবে জাতি।
একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করেছে— সেই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেরও তা জাতির সামনে তুলে ধরা হয়নি। সাংবাদিক ও চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনা নিয়ে ডকুমেন্টারির গবেষণায় হাত দিয়েছিলেন। তিনি গ্রামগঞ্জে গিয়ে হত্যার কারণ, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন। জাতি ভেবেছিল, জহির রায়হানের ডকুমেন্টারি প্রকাশিত হলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়ার কথা উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তিনি নিখোঁজ হলেন। তার ডকুমেন্টারি কোথায় আজও জানা যায়নি। রাজনীতি ও জাতি নিয়ে যারা চিন্তা করেন, তাদের কাছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড রহস্যে ঘেরা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫৩ বছরেও ভারত কখনো বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধুর পরিচয় দিতে পারেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা ভারতের শত্রু নই বরং ভারতের শাসকরা আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। তারা আমাদের ক্ষতি চেয়েছে, আমরা তাদের ক্ষতি চাইনি।