আদালতজাতীয়
ট্রেন্ডিং

আপিলে খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দেন।

এর আগে ১৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা তার আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনিক আর হক।

আরো পড়ুন

আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠনে খালেদা জিয়া স্বাক্ষরের কোনো নথি প্রসিকিউশন দেখাতে পারেনি। টাকা কোথা থেকে এসেছে, তাও দেখাতে পারেনি। যে অর্থ আত্মসাৎ বলা হয়েছে তা ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত আছে এবং সেটা টাকা সেখানে অনেক বেড়েছে। এই মামলার বিচারে সংবিধান ও আইন অনুসরণ করা হয়নি। অনুমান নির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যদের সাজা দেওয়া হয়েছে। ফলে মামলায় বেগম খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে আশা করেন তারা।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে ওই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button