
মহান বিজয় দিবসে উপলক্ষে প্রবাসী ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কানেক্ট বাংলাদেশ বলেছে, ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানে সৃষ্ট পরিস্থিতি কর্তৃত্ববাদী শাসনের সকল অস্তিত্ব শেষ করে দিবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিশব্দ ও কথা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কানেক্ট বাংলাদেশের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগকে কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ও রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। প্রত্যাশা ছিল দেশে গণতন্ত্র, সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই বিজয় সর্বজনের কাছে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবে। একটি শোষণহীন ও বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পাবে।
এতে বলা হয়, আমরা কখনো চিন্তা করিনি, দেশে কতক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আজ্ঞাবহ কিছু লোকের স্বেচ্ছাচারি দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। ৫৩ বছর পরও জনগণ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৫-১০ কোটি টাকা লাগবে। স্বাধীনতা, সুবিচার, সুশাসন, সুনির্বাচন ও সুবণ্টন দেশে অনুপস্থিত থাকবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও সর্বত্র অন্যায্যতা রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করে ফেলবে।
এতে আশা প্রকাশ করা হয়, স্বাধীনতা, সুবিচার, সুশাসন, সুনির্বাচন ও সুবণ্টন প্রতিষ্ঠায় দেশে ও প্রবাসে সব নাগরিকের যোগ্যতা, সামর্থ্য ও জ্ঞানকে কাজে লাগানো হবে।