
যুক্তরাজ্যের আর্থিক পরিষেবা মন্ত্রী ও দুর্নীতিবিরোধী দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিক ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারিসহ নানা বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করেছেন। তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
মাস্ক বলেন, ব্রিটেনের শিশুকল্যাণের দায়িত্বে থাকা লেবার পার্টির মন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করছেন। তাদের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
আগস্টে টিউলিপের খালা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়েছেন। তারপর নানা খাতে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশে তদন্ত শুরু হয়েছে শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে টিউলিপ ও তার মা শেখ রেহানাও রয়েছেন। আর টিউলিপের বিরুদ্ধে লন্ডনে বিনামূল্যে ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে টিউলিপ বলছেন, সরকারকে বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে পদত্যাগ করেছেন। তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করার পর তার স্থলে এমা রেনল্ডসকে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। এখন এই দায়িত্ব সামলাবেন এমা রেনল্ডস।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এতে তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
বিতর্কের মধ্যেই টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দ্য সানডে টাইমসকে তিনি বলেন, তদন্তে ফ্ল্যাটটি ডাকাতির মাধ্যমে টিউলিপ পেয়ে থাকার তথ্য মিললে সেটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত।
এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশেও তার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। শেখ হাসিনা, শেক রেহান, টিউলিপ সিদ্দিক ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।