দলীয়রাজনীতি
ট্রেন্ডিং

লন্ডনে খালেদা জিয়া, স্বাগত তারেক রহমানের

কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বিমানটি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ও সফরসঙ্গী ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে ভিআইপি প্রটোকল দিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক সূত্র। সূত্রমতে, খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ‍্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

জানা গেছে, হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়াকে পশ্চিম লন্ডনের ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া এবং সেখানেই তার চিকিৎসা শুরুর কথা রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি। খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে রাত সোয়া ৮টায় রওনা হয়ে ১১টা ১০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। এতে যানজট তৈরি হওয়ায় রাত নয়টায় বিমানবন্দরে তার পৌঁছানোর কথা থাকলেও রাত সাড়ে ১০টা লেগে যায়, বিমানটির লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়তে এক ঘণ্টার বেশি সময় দেরি হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন গেছেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান ফিসার, এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। কবে নাগাদ খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি চিকিৎসকরা বলতে পারেন, আমরা বলতে পারি না। আমরা আশা করি, উনি চিকিৎসা শেষে খুব শিগগিই দেশে ফিরে আসবেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কারাভোগ ও কার্যত গৃহবন্দী থাকায় বিদেশি উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিট খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপারেন্টের চিকিৎসা করার কথা রয়েছে। তার যাবতীয় চিকিৎসার কাগজপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ সেখানে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button