দলীয়রাজনীতি
ট্রেন্ডিং

খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসার পরিকল্পনা শুক্রবার

যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শুক্রবারের মধ্যে স্বাস্থ্যগত সব পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হতে পারে এবং তার ভিত্তিতে মূল চিকিৎসা শুরুর পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মেডিকেল সব রিপোর্ট হাতে পেতে পেতে শুক্রবার হতে পারে। এরপরই পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অতি দ্রুত যে সব পরিবর্তন আনা দরকার সেগুলো আনছেন। পরবর্তী চিকিৎসা কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর থেকে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন।

রোববার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের আরেক সদস্য ডা. মুহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী জানান, বেগম খালেদা জিয়া রোবাবার ক্লিনিকের ভেতরে এক-একা হাঁটাচলা করেছেন। এদিন দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের অপর একজন চিকিৎসক জানান, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন লন্ডন ক্লিনিকের সমন্বিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন তারা।।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন বলে জানান ড. জাহিদ হোসেন। এ সময় সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছের খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশ্য ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। বুধাবার (৮ জানুয়ারি) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে ওখানে ভর্তি করা হয় তাকে।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগারের বদলে নিজ বাসায় থাকার শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে মামলাগুলো বাতিলের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button