
তোফাজ্জল হত্যাকান্ডকে ইস্যু করে হঠাৎ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ঘোষণাকে মাথা ব্যাথা মাথা কেটে ফেলার নীতিকে প্রত্যাখান করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
দলটির পলিটব্যুরো বলছে, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে আরেকটি বিরাজনৈতিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় নতুন স্বৈরাচারের পথকে সুগম করবে। সুবিবেচনা সেটিই হবে যে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রেখে ছাত্র কল্যাণের ছাত্র রাজনীতিকে জায়গা করে দিতে হবে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভা থেকে এ সব কথা বলা হয়।
দলের পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসান স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২জন ছাত্রকে পিটেয়ে হত্যা, খাগড়াছড়িতে ১জন শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, যা মব জাস্টিসের মধ্য দিয়ে ঘটানো হয়েছে এগুলো বিচারহীনতার সংস্কৃতি চুড়ান্ত বহি:প্রকাশ। এ ঘটানাকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পলিটব্যুরো বলেছে, খাগড়াছড়িতে হঠাৎ করে সংঘাত সৃষ্টি করে পাহাড় জনগণের ওপর গুলিবর্ষণের এবং হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
অনতিবিলম্বে পাহাড়ী জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ঐ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত কয়দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে খুৎবা দিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাজার ভাঙ্গার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা ভ্রাতৃঘাতিক সংঘাত সৃষ্টি করবে। ইতোমধ্যে অনেকেই এই সংঘাতের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। পীর, ফকির, দরবেশ, আওলিয়ার মাজার বিশ্বাসী মানুষ, বিভিন্ন তরিকায় বিশ্বাসী মানুষদের ওপর আক্রমণ সমাজে কোনভাবেই স্থিতিশীলতা আনবে না।
অনতিবিলম্বে মাজার ভাঙ্গার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের দাবি জানানো হয় এবং মাজার ভাঙ্গার নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরের রণাঙ্গণের অন্যতম সৈনিক, প্রাক্তন পার্লামেন্ট মেম্বার মরহুম মাঈনুদ্দিন খান বাদলের কবরে আগুন দেওয়া এবং ভেঙ্গে ফেলে বিশেষ মতাদর্শের দূর্বৃত্তরা যে নজীরবিহীন কান্ড ঘটিয়েছে এর নেতিবাচক ফলাফল হবে সুদূর প্রসারী।
চট্টগ্রামে সংঘটিত এই ঘৃণিত ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দূবৃর্ত্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।