
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পক্ষ থেকে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহঅধিনায়ক মারিয়া মান্দা পদক গ্রহণ করেন। পরে নারী ফুটবল দলের সব সদস্য মঞ্চে উঠেন। পদক গ্রহণ শেষে পদক প্রাপ্ত ও পরিবারের সদস্যরা নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সঙ্গীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান।এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর)। সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজের পক্ষে তার বড়ভাই দুলাল আবদুল হাফিজ পদক গ্রহণ করেন। পরে অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। দুলাল আবদুল হাফিজ বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে সম্মাননা প্রাপ্তি যে কোন ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য একদিকে যেমন গৌরব ও আনন্দের অনুভূতি, তেমনি মরণোত্তর পদক ও সম্মাননা গৌরব এবং আনন্দের পাশাপাশি অনেকটা বেদনাবিধুর অনুভূতিও বটে।’
ছোট ভাইয়ের পদক গ্রহণে বেদনাবিধুর পরিস্থিতির শিকার বলে মনে করে তিনি।
উন্নত দেশে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদাণ বিরল উল্লেখ করে আবদুল হাফিজ বলেন, উন্নয়নশীল দেশে এ সংস্কৃতি বেশ চালু রয়েছে, যা থেকে আশু নিষ্কৃতির প্রয়োজন বলে আমি মনেকরি। তিনি মরণোত্তর সম্মাননার বিকল্প চিন্তা করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, নির্মোহ ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ণ গুণীজনের জীবদ্দশায় বাধ্যতামূলক করা যায় কি।
পদক প্রদাণ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।