
বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যার মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী ৪৬.১ শতাংশ আর ৬১ শতাংশ নারী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আত্মহত্যা নিয়ে কাজ করা আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
‘২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গেলো বছরে আত্মহত্যা করা ৩১০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। ১৩-১৯ বছরে বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ের শুরু থেকে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৬৫.৭ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ২০-২৫ বয়সসীমা যুবক-যুবতীরা, প্রায় ২৪ শতাংশ। ১-১২ বছর বয়সী শিশুর আত্মহত্যার হার প্রায় ৭.৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম আত্মহত্যার হার ২৬-৩০ বছর বয়সসীমার মানুষের, ২.৯ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১০ জন আত্মহত্যাকারীর মধ্যে নারী প্রায় ৬১ শতাংশ, পুরুষ প্রায় ৩৮.৪ শতাংশ আর তৃতীয় লিঙ্গের ও ট্রান্সজেন্ডারদের হার যথাক্রমে সংখ্যার যথাক্রমে ০.৩ শতাংশ এবং ০.৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি, ৪৬.১ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হার ১৯.৪ শতাংশ। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ১৪.৬ শতাংশ, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হার ৭.৪ শতাংশ, স্নাকোত্তর ১.৯ শতাংশ, ডিপ্লোমা ০.৬ শতাংশ আর সদ্য পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষিত বেকার ০.৬ শতাংশ ।
এর আগে ২০২৩ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৫১৩ জন আর ২০২২ সালে এই সংখ্যা ৫৩২ জন।