ফিচারশিল্প-সাহিত্য

চিরনিদ্রায় শায়িত কবি হেলাল হাফিজ

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, নানা বয়সের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি হেলাল হাফিজ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় প্রেম ও দ্রোহের কবিকে।

‘যে জলে আগুন জ্বলে’র কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠানিত রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। জানাজায় ইমামতি করেন কবির ভাই দুলাল আবদুল হাফিজ।

জানাজায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, কবির পরিবারের সদস্যরাসহ আরও অনেকে।

জানাজা শেষে কবি হেলাল হাফিজের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিজগৎ কবি হেলাল হাফিজের শূন্যতা বোধ করবে। এক বইতেই সংস্কৃতিতে নিজের অবস্থান চিরস্থায়ী করে গেছেন তিনি। কবিকে আমরা একুশে পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কার কখনোই দিইনি। কিন্তু এটি দেওয়াটা জাতির দায়িত্ব ছিল। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কী করার আছে, আমরা সেটা দেখব।

এরপর কবির মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় এবং সেখানে  বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং কবি-সাংবাদিকসহ আরও অনেকে।

পরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে কবি হেলাল হাফিজের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর বেলা সাড়ে ৩টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় কবিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন
Close
Back to top button