বিশ্বসাহিত্যের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সাময়িক বন্ধ হচ্ছে

নতুন বছরের শুরু থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ২৫ বছর ধরে চলা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ হচ্ছে। নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আগপর্যন্ত কিছু দিন এই সেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র জানায়, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশবাসীর বুদ্ধিভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির গাড়ির সংখ্যা ৭৬টি। এই গাড়িগুলো দেশের ৩ হাজার ২০০ এলাকায় বই দেওয়া-নেওয়া করে, অর্থাৎ সমান সংখ্যক ছোট লাইব্রেরির কাজ করে। এই লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ (নিয়মিত ও অনিয়মিত)।
এতে বলা হয়, এই বিপুল সংখ্যক গাড়ি পরিচালনার ব্যয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই গাড়ি, বই, ইত্যাদি নিজস্ব হওয়া সত্ত্বেও জনবল ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে কার্যক্রমটি চালাতে হয়।
শামীম আল মামুন জানান, গত ছয় বছর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি পর্বে দুই বছরের জন্য সহায়তা দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে। কার্যক্রমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকল্প মেয়াদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ায় তাদের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে ৩১ ডিসেম্বর।
তিনি জানান, বিগত সরকারের শেষ দিকে জানা যায়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পে আর অর্থায়ন করবে না। তবে বর্তমান সরকারের থেকে আভাস পাওয়া গেছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আরও দুই বছরের জন্য প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। ফলে নতুন প্রকল্পের প্রক্রিয়াকরণে সঙ্গত কারণেই কিছুটা সময় লেগেছে। কার্যক্রমটি কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকবে।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু রাখার দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করছেন পাঠকরা।