
১৯৭০ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে মানুষ ধোয়ার মেশিনটি যেমন সকলের দৃষ্টি কেড়েছিল, তেমনি ২০২৫ সালের ওসাকা কানসাই এক্সপোতেও এই মেশিনের নতুন সংস্করণ আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে চলেছে।
জাপানের ওসাকার শাওয়ারহেড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সায়েন্স কোং নতুন প্রযুক্তি ও আধুনিক চাহিদার ভিত্তিতে এই মেশিনটি নতুন করে তৈরি করেছে। ‘মিরাই নিনগেন সেনতাকুকি’ নামক এই মেশিনটি ওসাকা অঞ্চল ও নগর সরকার পরিচালিত ওসাকা হেলথকেয়ার প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত হবে।
একটি ফাইটার জেট বিমানের ককপিটের মতো দেখতে এই মেশিনটির ভেতরে বসে ব্যবহারকারীরা গোসল করতে পারবেন। সিটে বসানো সেন্সর ব্যবহারকারীর শারীরবৃত্তীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে গোসলের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ঠিক করে। এআই প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীর মানসিক অবস্থা অনুযায়ী মেশিনের ভেতরে বিভিন্ন ছবি দেখানো হবে, যা তাদের আরামদায়ক পরিবেশ প্রদান করবে। পুরো প্রক্রিয়াটিতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
১৯৭০ সালে সানিয়ো ইলেকট্রিক কোম্পানি তৈরি করা ‘আল্ট্রাসনিক বাথ’ মডেলটির তুলনায় নতুন মডেলটি অনেক বেশি আধুনিক। নতুন মডেলটিতে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণের মতো অত্যাধুনিক ফিচার রয়েছে।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ইয়াসুয়াকি আয়োমা বলেন, “আমরা মনে করি এই মেশিনটি মানুষকে আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের সুযোগ দেবে।” তিনি আরও বলেন, “এক্সপোর সময় প্রায় ১ হাজার দর্শনার্থীকে এই মেশিনটি ব্যবহার করে দেখার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।”
কোম্পানিটি ভবিষ্যতে এই মেশিনটির একটি ঘরোয়া সংস্করণ বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। তবে এর জন্য আরও গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ করতে হবে।
এই নতুন প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে অন্যদিকে, গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সূত্র: আসাহি শিম্বুন