আন্তর্জাতিকবিশ্বে বাঙালি
ট্রেন্ডিং

দুইকক্ষ বিশিষ্ট সংসদে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির দাবি

ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় সম্মেলনে কানেক্ট বাংলাদেশ

বাংলাদেশে দুইকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে কানেক্ট বাংলাদেশ।
সম্প্রতি পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী, অদলীয়, ধর্মনিরপেক্ষ ও অলাভজনক এই সংগঠনের তিন দিন ব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় ওই সম্মেলন শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
দেশে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সকল দলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো সংবাদ সম্মেলনে।
সংগঠনটির দপ্তর পরিষদের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মনসুর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাতে দেশে বাক ও ব্যক্তির স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সমূহ পূর্ণতা পায়, সুস্থ ধারার সুস্থ প্রতিযোগিতাপূর্ণ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা পায়, সকল ধরণের রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ হয়, স্বাধীন ও সুষ্ঠ বিচারালয়, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকৃত স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, দ্বি- কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, পার্লামেন্টে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি, রাজনৈতিক দলসুমুহের নীতি নির্ধারণ, নেতা নির্বাচন ও প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যেক দলের স্থানীয় শাখার শাখার নেতা ও কর্মীদের দায়িত্বশীল করা হয়।
প্রবাসীদের ভোটার আইডি ও ভোট প্রদাণের সুযোগ প্রতিটি দূতাবাসের মাধ্যমে করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,বিগত ৩০ বৎসর যাবত এ বিষয়ে নানা আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। অনতিবিলম্বে এর বিহিত করার আহবান জানানো হয়।
‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবাসীদের অধিকার’ স্লোগানে সংগঠনটি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এর আগে সম্মেলন অধিবেশনের আলোচনায় বাংলাদেশে প্রবাসীদের উপর নিপীড়ন ও হয়রানির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রবাসীদের উপর নিপীড়ন ও হয়রানির সকল ঘটনাকে অন্যায় আচরণ বলে মনে করে কানেক্ট বাংলাদেশ।
বিমান বন্দর ও দেশের অভ্যন্তরে সকল ধরণের নিপীড়ন, জায়গা জমি বাড়ি দখল, হামলা মামলা, স্ত্রী সন্তানদের উপর অত্যাচারের নানা বর্ণনা তুলে ধরেন আলোচকরা।
এই জাতীয় ঘটনার পূনুরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বিদেশে দূতাবাস সমূহের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বিশেষ করে প্রবাসীদের সকল সমস্যায় ও বিপদে দায়িত্বশীল হয়ে সরকারের পক্ষে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনায় অংশ নেন রানা তাসলিম, মো. আমিরুল হক, এস এম জুয়েল, রেজাউল করিম, মাসুম খান, ওমর ফারুখ, তোফায়েল হামিদ চৌধুরী, সাকিব আহমেদ, লুৎফর রহমান, মোঃ আলাউদ্দিন ভূইয়াঁ, রুবেল আহমেদ, এম, কে, নাসির ও রাজীব আল মামুন মোহন।
কানেক্ট বাংলাদেশ- এর পক্ষে বক্তব্য দেন জাফর আজাদী, বাবুল তালুকদার, আফসার হোসেন নীলু, মোঃ কামরুল ইসলাম, মনসুর চৌধুরী, প্রমুখ।
পর্তুগালের বাংলাদেশের দূতাবাসের নানা অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের বর্ণনা তুলে ধরা হয় ওই আলোচনায়। বাংলাদেশে পুর্তুগালের দূতাবাস না থাকায় নানা ভোগান্তির বর্ণনা দেন তারা।
বাংলদেশে পর্তুগালের একটি কনস্যুলার অফিস প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয় আলোচনা থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button