
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার পাসপোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করেছে, ভিসার মেয়াদও শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাইয়ে গণহত্যা চালানোর অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় ভারত থেকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তার ‘ভিসার’ মেয়াদ বাড়িয়েছে বাড়িয়েছে দিল্লি।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদনের মধ্যে তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তিনি বর্তমানে দিল্লির রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, দিল্লিতে থাকার সুবিধার্থে শেখ হাসিনার ‘ভিসার’ মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)।
এ ছাড়া ভারতে শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর প্রত্যর্পণের সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে তাকে প্রত্যর্পণের জন্য ঢাকার আবেদনে দিল্লির সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
এদিকে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুন ও জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আরও ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। এর পরদিন ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ঢাকার পদক্ষেপকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে ভারতের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।