
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র অফিসে হামলা; বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর, ছাত্র সংঘর্ষ এবং মব ট্রায়াল, ভায়োলেন্স, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ২০২৪) দলটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, মত এবং দ্বিমত প্রকাশে অধিকারের জন্য দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ নৈরাজ্য সৃষ্টি করা এবং বগুড়া ও রাজশাহীতে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুর করেছে একদল সন্ত্রাসী। যা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার পরিপন্থী। এটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এইসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সরকারের যথাযথ ভূমিকাও দেখা যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর পরই ভাস্কর্য, মন্দির, মাজার ভাংচুরসহ মব কিলিং এর সাথে যুক্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিতো তাহলে দুর্বৃত্তরা সংবাদপত্রের উপর আক্রমণ করতে সাহস পেতো না।
বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা পাস্পরিক সংঘর্ষ, ভাংচুরে জড়িয়ে পড়ে শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই ব্যর্থতা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, যে ছাত্ররা সকল ভেদাভেদ ভুলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উচ্ছেদের জন্য হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছে; গণঅভ্যুত্থানের পর কী এমন ঘটনা ঘটলো যে ছাত্ররা সামান্য খুটিনাটি ঠুনকো বিষয় নিয়ে পারস্পরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে তা খতিয়ে দেখে এখনই প্রতিকারের উদ্যোগ না নিলে দেশি-বিদেশি ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের সুযোগ পাবে এবং এর ফলে গণঅভ্যুত্থানের ফসল বেহাত হওয়ার বিপদ সৃষ্টি হতে পারে।
এইসব ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।