
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লন্ডনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা এখনো প্রক্রিয়াধীন।
লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ও দলের নেতাসহ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল যেতে পারেন।
চিকিৎসার পথে সৌদি আরব সরকারের আমন্ত্রণে ওমরাহ পালন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার পর তার মুক্তি ও বিদেশ যাত্রার উদ্যোগটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। সেই সময় খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেয়।
তবে তিনি রাজনীতি ও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। যার ফলে, কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। এই সময়ে বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরদিনই (৬ আগস্ট) বেগম জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।