দলীয়রাজনীতি
ট্রেন্ডিং

চিকিৎসায় লন্ডনে আসবেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা

যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তার চিকিৎসায় প্রয়োজন হলে লন্ডনে আসবেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তিনি বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সব টেস্টের রিপোর্ট পাবার পর প্রয়োজনে আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা লন্ডনে আসবেন। আমাদের সাথে তাদের যোগাযোগ আছে।

খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ওনার বয়স এখন ৭৯ বছর। আদৌ করার মতো অবস্থায় আছেন কিনা বা কীভাবে করলে ভালো থাকতে পারবেন, বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলব কিনা– এমন অনেকগুলো বিষয় এখানে বিবেচনায় রয়েছে। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণের এখনও সময় আসেনি।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, মেডিকেল সব রিপোর্ট হাতে পেতে পেতে শুক্রবার হতে পারে। এরপরই পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন।

রোববার খালেদা জিয়ার একাধিক ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া ক্লিনিকের ভেতরে এক-একা হাঁটাচলা করেছেন। এদিন দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশ্য ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। পরদিন লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে ওখানে ভর্তি করা হয় তাকে।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগারের বদলে নিজ বাসায় থাকার শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে মামলাগুলো বাতিলের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button