
আগামী নির্বাচনে ঋণখেলাপিরা যাতে দলীয় মনোনয়ন না পান, সেটা নিশ্চিত করার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও বাজেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামের শেষ পর্বে আলোচক ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যেরর সঞ্চালনায় এ পর্বে আরও আলোচক ছিলন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
দর্শকসারি থেকে আসা বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব। এর মধ্যে ঋণখেলাপিরা নির্বাচনের আগমুহূর্তে ৫ শতাংশ পরিশোধ করে ভোটে অংশ নেন, এ বিষয়ে কী করবে জানতে চান রেহমান সোবহান।
জবাবে ঋণখেলাপিরা যাতে ভোটে অংশ নিতে না পারেন, সে বিষয়ে চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অর্থ পাচারকারীদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর সম্ভাবনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই সন্দেহ একেবারে অমূলক নয়। তারা যাতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার বিষয়ে জানাতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বিষয়টি বহুবার পরিষ্কার করেছি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে দেশের জনগণ। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছয় মাসে সব সমস্যার সমাধান করে ফেলা সম্ভব নয়। এ জন্য নির্বাচনের ঘোষণাটা তাড়াতাড়ি দরকার। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের কাছে যাওয়া সম্ভব, তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব।
ছয় মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ করার দাবি তাড়াহুড়া হয় কিনা, রেহমান সোবহানের এমন জিজ্ঞেসার জবাবে মির্জা ফখরুল হাসতে হাসতে বলেন, এটা আমাদের দলীয় কৌশল (স্ট্র্যাটেজি)।
বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের জন্য কেন এত চাপ দিচ্ছে—এক দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, সংস্কারসহ সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারই করতে পারে।