
গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল ৩০ জুলাই পর্যন্ত বলেছিল, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের সঙ্গে একমত হব কিনা, সংগ্রামে যুক্ত হব কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এ সময় জুলাই মাসে দলগুলো কোথায় ছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সারজিস আলম।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক।
সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা আজ বড় গলায় বলে, অভ্যুত্থানে তারাই সামনের সারিতে ছিলেন, আমরা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) শুধু অংশগ্রহণ করেছি।
ওই দলগুলোর উদ্দেশ্য সারজিস আলম বলেন, তাদের একটি কথাই বলতে চাই— বড় গলায় কথা বলার আগে নিজের বিবেকবোধের জায়গা থেকে চিন্তা করুন, জুলাই মাসে আপনাদের অবস্থান কোথায় ছিল? জুলাই মাসজুড়ে আপনাদের কথা বলার জায়গা কেমন ছিল? আপনাদের ভাগ্যগুলো কেমন ছিল?
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫৮ শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়।
শহীদ ও আহতদের পরিবারের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আমরা দলকানা হব না, কোনো গোষ্ঠীর পূজা করব না। আমরা কাউকে ছেড়েও কথা বলব না। কিন্তু বিভিন্ন মহলের প্রোপাগান্ডার সেলগুলো নানা অপব্যাখ্যা করে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কিনা, সেটাও আমরা লক্ষ্য করব। খেয়াল রাখতে হবে, গুজব লীগের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে মজুত করে তা দিয়ে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে কিনা। অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলোকে গুজবের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে কিনা।