আন্তর্জাতিকদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
ট্রেন্ডিং

ঢাকার কূটনীতিককে পাল্টা তলব দিল্লির বার্তা

বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সীমান্ত হত্যা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে রোববার (১২ জানুয়ারি) তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা-দিল্লির ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেড়া নির্মাণসহ সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে এবং বিএসএফ ও এবং বিজিবির মধ্যে সব প্রটোকল এবং চুক্তি মেনে চলেছে বলে বাংলাদেশের কূটনীতিককে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল এবং পাচারের চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত। সে অনুযায়ী কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্ত আলো, প্রযুক্তিগত ডিভাইস এবং গবাদি পশুর বেড়া সীমান্ত সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। বাংলাদেশের দ্বারা আগের সব সমঝোতা বাস্তবায়িত ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ থাকবে বলে আশা করে দিল্লি।

এর আগে সীমান্তে অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় রোববার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভর্মাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সমঝোতা বা বোঝাপড়া রয়েছে বলে জানান প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে বিএসএফ ও বিজিবি।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতের ব্যাপারে দিল্লির প্রত্যয় নিয়ে ঢাকার সঙ্গে কথা বলেছি। চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল, পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে দমনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করি।

ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ভারতের কয়েকটি পয়েন্টে অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া এবং বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তারা জানান, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ দুদেশের সমঝোতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে ভারতের যুক্তি বাংলাদেশ গ্রহণ করছে না। বিষয়টি ভারতীয় দূতকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা রক্ষা করা হচ্ছে না। স্পর্শকাতর এই ইস্যুতে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বিষয়টির ভারতকে বিবেচনায় নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button