
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং গুমের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করে।
প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভুলেশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’। ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের উচিত জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী র্যাব বিলুপ্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া। এই ইউনিট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এবং বহুবার তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং গুমের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে।
এতে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাবপ্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি বিলুপ্তি করে দিতে চাইলে র্যাব তা মেনে নেবে।
র্যাবের সকল কর্মকর্তা যাতে ভবিষ্যতে গুম, হত্যা বা ক্রসফায়ারের মতো অপকর্মে না জড়ায়, সেজন্য তাদের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কার না করা হলে, তা অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কষ্টার্জিত অর্জনকে বৃথা করে ফেলতে পারে।
এইচআরডব্লিউর জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার সাংবাদিকদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাধীন করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। তাদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে নিয়োগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে। তার মতে, যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, র্যাবকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। র্যাবকে সংস্কার করা সম্ভব নয়।