কূটনীতি
ট্রেন্ডিং

জয়ের প্রথম সপ্তাহেই ট্রাম্পের ৫ পদক্ষেপ

নির্বাচিত হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই গুরুত্বপূর্ণ ৫ পদক্ষেপ নিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ সব পদক্ষেপ থেকে ভবিষ্যৎ প্রশাসনের রূপরেখা স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই টপ টিম গঠন শুরু করেন ট্রাম্প। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের নাম চূড়ান্ত করেছেন, যাদের নিয়োগের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা এবং কয়েকজন সিনিয়র সহযোগী নিয়োগ দিয়েছেন। তবে এ নিয়োগগুলো শুধু প্রশাসনিক নয়; এটি একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষত, যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তারা ট্রাম্পের প্রশাসনের কার্যক্রমে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এমন একজনকে মনোনীত করেছেন, যিনি অনাকাঙ্ক্ষিত সামরিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে নতুন নীতি প্রণয়নের কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে সামরিক বিভাগে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ও কার্যকর কাঠামো তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর দুর্নীতি দূর করার অঙ্গীকার করেছেন। এমনকি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কিছু বিভাগ পুরোপুরি বাতিল করার পরিকল্পনাও সামনে এনেছেন।

উপদেষ্টা হিসেবে ইলন মাস্ক এবং বিবেক রামাস্বামীকে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের নেতৃত্বে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর দিকে জোর দেবে।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি সরকার তৈরি করতে চাই, যা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে এবং জনগণের অর্থের অপচয় রোধ করবে।’

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তগুলো তার প্রশাসনের কার্যক্রমে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ার বার্তা বহন করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আরও সাহসী এবং প্রভাবশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button