আন্তর্জাতিককূটনীতি
ট্রেন্ডিং

শেখ হাসিনার ফেরতের বিষয়ে যা বলছে ভারত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যার বিচার চলছে এবং দেশে ফেরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রত্যর্পণ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত সরকার।

এ বিষয়ে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে প্রশ্ন করা হয়। সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জবাবে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। এর বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের দাবি বিধিসম্মতভাবে করেনি। চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি গ্রাহ্য না হওয়ার আরও অনেক কারণ আছে। এ নিয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।

ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সোয়াল বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ওই ঘটনায় যাঁদের ধরা হয়েছে তাঁরা সুবিচার পাবেন। বিচার ন্যায্য হবে।

তুর্কি সংস্থা থেকে বাংলাদেশের সামরিক ট্যাংক কেনার সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতি বার্তা কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর ভারত সব সময় তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের সময় দেওয়া বিবৃতির কথা নতুন করে মনে করিয়ে দেন জয়সোয়াল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহের কথাও পররাষ্ট্রসচিব জানিয়ে এসেছেন, যা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তিশীল এবং যা পারস্পরিক স্পর্শকাতরতা, উদ্বেগ ও স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। সম্পর্কের মূল লক্ষ্য দুই দেশের জনগণের কল্যাণ।

এ ছাড়া দুই দেশে আটকে পড়া জেলেদের মুক্তির বিষয়ে জানানো হয়, ৫ জানুয়ারি ৯৫ জন ভারতীয় ও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে মুক্তি পাচ্ছেন। আর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে  ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে হয়রানির বিষয়ে বলা হয়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করা ও ফেরত পাঠানো নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ। তারা সেই কাজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button