
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, সীমান্তে আর কোনও লাশ দেখতে চাই না। সীমান্তে বাংলাদেশিদের লাশ করার বিচার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের কলেজ মোড়ে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচির শুরুতে এ কথা বলেন। সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সারজিস আলম বলেন, বিগত ৫৩ বছর ধরে একটি গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কুক্ষিগত করে রেখেছিল ভারত। ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এবার তার মোক্ষম জবাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতসহ সব দেশকে বলতে চাই, আজকের পর থেকে বাংলাদেশিদের প্রতি শকুনের দৃষ্টিতে তাকানোর চেষ্টা করলে সেই দৃষ্টি উপড়ে ফেলতে ছাত্র জনতাই যথেষ্ট। ছাত্র-জনতা আর কখনও নতজানু হওয়া মেনে নেবে না।
‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচি থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের বার্তা দিয়ে সারজিস বলেন, ‘আজকের পর কোনও ভাই কিংবা বোন কাঁটাতারে ঝুললে পরবর্তী মার্চ ওই কাঁটাতারের দিকে হবে। সেটা হলে লক্ষ্য কাঁটাতার ভেদ করে যতদূর চোখ যায় তত দূর যাবে। গণঅভ্যুত্থানের স্ফুলিঙ্গ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। আমরা সীমান্তে আর কোনও লাশ দেখতে চাই না, সীমান্তে সব ধরণের মারণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।