
মায়ানমারের রাখাইন থেকে আমদানি করা ১৯ মেট্রিক টন চালের একটি চালান কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরে এসেছে, তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি রাখাইনের মংডু দখল করা বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) ছাড়পত্র নিয়ে চালের চালানটি ট্রলারে করে টেকনাফ বন্দরে পৌঁছায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়।
একদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খালাসের অনুমতি দেয়নি টেকনাফ বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সঠিক কাগজপত্র না থাকায় এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে চালানটি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দরে শুল্ক কর্মকর্তা বি এম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ট্রলারভর্তি চালের সঠিক ছাড়পত্র নেই। আবার আমদানিকারকেরও মায়ানমার থেকে চাল আনার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেই। সে কারণে মালামাল খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এখন চালভর্তি ট্রলারটি রাখাইনে ফেরত পাঠানো ছাড়া উপায় নেই।
টেকনাফ স্থলবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) এ এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, সঠিক কাগজপত্রের অভাবে চালগুলো খালাস হয়নি। ফলে এখনও বন্দরে ট্রলারটি নোঙরে রয়েছে।
এদিকে, স্থলবন্দর ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েকজন রোহিঙ্গা, স্থানীয় ও চট্রগ্রামের ব্যবসায়ীরা মিলে মংডু শহর থেকে ১৯ টন (৩৮৪ বস্তা) চাল ট্রেড লিংক মেরিন লাইন কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. সেলিমের কাছে আসে। তার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক মেসার্স জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্সের শরণাপন্ন হন চালের মালিকরা। এতে জটিলতা তৈরি হয়। এসব চালগুলো ঘাটে আসা পর্যন্ত ৪৬ টাকা কেজি দামে পড়েছে।