
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এই অভ্যুত্থানের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর ২০২৪) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের এবং অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের স্মৃতিচারণমূলক এ সভার আয়োজন করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
ফয়জুল হাকিম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে আজকের এই আয়োজন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের লড়াইয়ে যে ছাত্র শ্রমিক জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে জানাই লাল সালাম। ।
পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের দোসর খুনীরা কিভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারলো, কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করলো সে প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি।
ফয়জুল হাকিম বলেন, ছাত্র শ্রমিক জনতাকে সজাগ থাকতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ ও তাদের আর্থিক সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অসংখ্য নিহত আহতদের নাম এখনো তালিকার বাইরে রয়েছে।
স্মরণ সভা পরিচালনা করেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্মরণ সভার কাজ শুরু করা হয়।
স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দীন আহমেদ,বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল- এম) সাধারণ সম্পাদক ডা আবদুল হাকিম, জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ইমনের মা কুলসুম বেগম, নিহত হাফিজুল সিকদারের শ্বাশুড়ি নাছিমা, নিহত রায়হানের বাবা মোজাম্মেল, নিহত ইয়ামিনের বাবা রতন, নিহত আমিনুলের আম্মা সেলিনা, আহত রিফাত হাওলাদার, আহত সাদ্দাম হোসেন সূর্য, আহত খলিলুর রহমান, আহত রিফাতের বাবা মো রিয়াজ, আহত আনিসুরের বাবা শামসুদ্দীন, আহত ওয়াহিদুল, আহত মুজাহিদুল।