
জুলাই আগস্টের গণহত্যার বিচার না হওয়া বা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
১-১৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ, অবরোধ ও হরতালসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদেরকে প্রকাশে ক্ষমা চেতে হবে। তাদেরকে রাজনীতি করতে হলে ক্লিন ইমেজ নিয়ে আসতে হবে।
গণহত্যার জন্য দলের শীর্ষ নেতারা দায়ী থাকতে পারে কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কেন রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা কর্মী কি অনুতপ্ত? তারা কি এজন্য কমা চেয়েছে? কি হত্যাযজ্ঞ হয়েছে আপনারা দেখেছেন, ৭১টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। একজনও এজন্য অনুতপ্ত বা ক্ষমা চেয়েছে, চায়নি?
শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ বলেছে যে হাসিনার এই কিলিং আমরা মানি না? আমরা একটা ক্লিন ইমেজের লিডারশিপ চাই। একজনও কিন্তু বলিনি। বরং অনেকেই মিথ্যা কথা বলছে, গুজব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো ধরনের প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেব না। খুনিরা কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে বাংলাদেশের জনগণ।