
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতলেন দক্ষিণ কোরিয়ান লেখিকা হান ক্যাং।
‘গভীর কাব্যিক গদ্যের’জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
সংস্থাটি জানায়, গভীর কাব্যিক গদ্যের সাহিত্যকর্মে পূর্বের যুগে সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতন এবং মানবজাতির ভঙ্গুরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াঞ্জুতে ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন হান ক্যাং। কিশোর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী সিউলে চলে আসেন তিনি।
তার বাবা ছিলেন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। পরিবারিক সূত্রে সাহিত্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন হান ক্যাং।
গান ও সংস্কৃতির প্রতি তার মেলবন্ধন সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে।
এখন পর্যন্ত ১২০ সাহিত্যবিদকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
১৯০১ সালে সাহিত্যের প্রথম নোবেল পুরস্কারটি পান ঊনবিংশ শতাব্দির ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম।
১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন বাঙালি লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি প্রথম বাঙালি যিনি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।
১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে।
ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন।
তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।