
ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে আটক থাকা ৭৮ বাংলাদেশি নাবিককে আলোচনার মাধ্যমে শিগিগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের বিষয়ে জানাতে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
নাবিকদের ফেরানোর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এবং আমাদের যারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে আলাপ-আলোচনা চলছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আটক নাবিকদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনানা সম্ভব হবে হবে প্রত্যাশার কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় কোস্টগার্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ আটক ২টি ট্রলারের তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়।
ফেসবুকে ‘ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড’ পেজে দেওয়া পোস্টে দাবি করা হয়, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’
তবে ট্রলার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরা অবস্থায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়।
ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করা একটি ছবিতে দেখা যায়, আটক ট্রলারের নাবিকেরা নৌযানে হাঁটু গেড়ে হাত মাথার পেছনে আছেন। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন। আরেকটি ছবিতে সাগরে বাংলাদেশের দুটি ট্রলার চলতে। তৃতীয় ছবিতে ট্রলার দুটিকে জেটিতে আনার দৃশ্য দেখা যায়।
আটক নৌযান এফভি লায়লা-২ এস আর ফিশিংয়ের এবং এফবি মেঘনা-৫ সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন জানান, ট্রলার দুটি সোমবার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। তখন ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা গিয়ে ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়।
ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুটি ও নাবিকদের বিষয়টি জানানোয় আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।