কর্মজীবনখবরাখবর
ট্রেন্ডিং

দেশে বেকার বেড়ে ২৬ লাখ ৬০ হাজার

দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০ হাজার বেড়ে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। রোববার (৫ জুনায়ারি) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বেকারের নতুন হিসাব ১৯তম আইসিএলএস (পরিসংখ্যানবিদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন) অনুযায়ী তৈরি করেছে বিবিএস। এই পদ্ধতিতে উৎপাদনমূলক কাজে নিয়োজিত থাকলেও যারা বাজারে পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন না, তারাদের বেকার জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বিবিএস এবারই প্রথম এভাবে হিসাব করেছে বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।

এত দিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসাব করায় নতুন হিসাবের পাশাপাশি পুরোনো হিসাবটিও দেওয়া হয়েছে এবার।

নতুন হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৫০ হাজার। তার আগের প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৪০ হাজার। ফলে পুরোনো হিসাবে বেকারের সংখ্যা কমলেও নতুন হিসাবে বেড়েছে ২০ হাজার।

আরো পড়ুন

বিবিএসের জরিপে বলা হয়, কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকলেও জরিপের আগের সাত দিন সময়ে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, বিগত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরি অথবা মুনাফার বিনিময়ে করার জন্য খুঁজলেও পাননি— এমন ব্যক্তিদের বেকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

১৩তম আইসিএলএসের ভিত্তিতে বিবিএসের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক জরিপে সেপ্টেম্বর শেষে দেশের শ্রমশক্তি ছিল ৭ কোটি ৬ লাখ নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার আর নারী ২ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার।

তবে জরিপের সময় দেশে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার নারী-পুরুষ কাজে নিয়োজিত ছিল। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার আর নারী ২ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার।

এ ছাড়া কর্মে নিয়োজিত নয় আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়— এমন শিক্ষার্থী, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক, কাজে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত এবং কাজ করতে অনিচ্ছুক লোকের সংখ্যা সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ৫ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষ।

বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে ১৩-১৪ লাখের দেশের কর্মসংস্থান হয়, বাকিরা প্রবাসে যান। ফলে দুই দশক ধরে বেকারের সংখ্যা মোটামুটি ২৪-২৮ লাখের মধ্যেই রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button