
“নতুন বাংলাদেশের” সম্ভাবনাময় অগ্রগতির পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার (১৮ নভেম্বর ২০২৪) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে “নতুন বাংলাদেশ” বিনির্মাণের পথে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের কার্যক্রমের ওপর পর্যালোচনা তুলে ধরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “নির্বিচার হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সাক্ষর, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল এবং রাষ্ট্র সংস্কারের খাতগুলো চিহ্নিত করে কমিশন গঠন—এসব উদ্যোগ নতুন বাংলাদেশ গঠনের সহায়ক হলেও কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়ে গেছে।”
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রতিবেদনে টিআইবি আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন খাতে সংস্কারকাজে যথাযথ কৌশল ও রোডম্যাপের অভাব রয়েছে এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অ্যাড-হক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, “শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছিল। সঠিক আইনি পরিবেশ না থাকলে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চেতনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণ সহায়তার শর্তাবলি ও ঋণ পরিশোধের চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংস্কার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা জোরদার এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ বন্ধের জন্য সরকারকে আহ্বান জানায় টিআইবি।