
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) শপথ নেন তিনি। এ সময় অতিথিদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আমেরিকার স্বর্ণযুগ এখন থেকে শুরুর ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধ ও সম্মানিত হবে। আমি সাধারণভাবে আমেরিকাকে প্রথমে রাখব। । আমেরিকা ফের একটি উৎপাদনশীল দেশ হয়ে উঠবে।
পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে আমেরিকার মাটির নিচে বেশি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এ সম্পদ ব্যবহার করব।
হোয়াইট হাউসের কাছে সেন্ট জনস এপিসকোপাল গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শপথ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাম্প। পরে প্রথা অনুযায়ী হোয়াইট হাউসে গিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে চা পান করেন তিনি। শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে শপথের অনুষ্ঠানস্থল ক্যাপিটল হিলে যান। সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের শপথের সময় ব্যবহৃত বাইবেল ছুঁয়ে শপথ নেন ট্রাম্প।
এর আগে রোববার শপথ-পূর্ব এক র্যালিতে সমর্থকদের উদ্দেশে প্রায় একই ধরনের বক্তব্য রাখেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। আমেরিকার পতন বন্ধ করে দেশটির পুনর্নির্মাণে নবযুগের সূচনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার দীর্ঘ চার বছরের পতনের যবনিকাপাত হবে সোমবার। আমরা আমেরিকার শক্তি ও সমৃদ্ধির এক নতুন যুগ শুরু করব। আমি ঐতিহাসিক গতিতে এবং শক্তি দিয়ে কাজ করব এবং আমাদের দেশের প্রতিটি সংকট সমাধান করব।
ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে অভিবাসন ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি বলেন, তার সরকার সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। কয়েক দিনের মধ্যেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
দায়িত্বের প্রথম দিন থেকেই বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারির ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প জানান, স্কুল থেকে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু এবং সমালোচনামূলক জাতিতত্ত্ব নিষিদ্ধ করা এবং নারীদের ক্রীড়ায় ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা হবে। এ ছাড়া জন এফ. কেনেডি, ববি কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যা সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করা হবে।
গত বছর নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে দেন রিপাবলিকান দলে প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হন। এর মাধ্যমে চার বছর আগে নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরলেন বিতর্কিত এই ব্যবয়াসী রাজনীতিক। তিনি ঘুষের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রথম ব্যক্তি।