
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ বিমানে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্য ঢাকা ছাড়বেন। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষ তাকে ভিআইপি প্রটোকল দেবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক সূত্র।
সূত্রমতে, খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও থাকবেন।
জানা গেছে, হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়াকে পশ্চিম লন্ডনের ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া হবে এবং সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হবে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন যাচ্ছেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান ফিসার, এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা।
এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
কবে নাগাদ খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি চিকিৎসকরা বলতে পারেন, আমরা বলতে পারি না। আমরা আশা করি, উনি চিকিৎসা শেষে খুব শিগগিই দেশে ফিরে আসবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কারাভোগ ও কার্যত গৃহবন্দী থাকায় বিদেশি উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিট খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপারেন্টের চিকিৎসা করার কথা রয়েছে। তার যাবতীয় চিকিৎসার কাগজপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ সেখানে পাঠানো হয়েছে।