
বৃহস্পতিবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারী) থেকে কাউন্টারভিত্তিক বাস চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম।
মঙ্গলবার রাজধানীর পরিবাগে সমিতির প্রধান কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাইফুল আলম জানান, আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা শহরে চলাচল করা ২১টি কোম্পানির বাস বৃহস্পতিবার থেকে টিকিট কাউন্টারভিত্তিতে চলাচল করবে। এই রুটে প্রায় দুই হাজার ৬১০টি বাস চলবে। সবগুলো বাস একই রঙের (গোলাপি) হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে যাতায়াত করতে পারবেন।
চলতি মাসের মধ্যেই অন্যান্য রুটে কাউন্টারভিত্তিক বাস পরিচালনা শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর যাবত সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ঢাকা সিটিতে চলাচলকারী রুটের বাস-মিনিবাস চালকদেরকে দিয়ে কন্ট্রাকে গাড়ী চালানোর ব্যবস্থা করে। এতে রুটে গাড়ী চলাচলে অসম প্রতিযোগিতা হয়, যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা করে। নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া যাত্রী উঠানামার কারনে সড়কে বহুলাংশে যানজট ও বিশৃংখলা সৃষ্টি ও দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
সাইফুল আলম বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃংখলা জোরদারকরন, ঢাকা মহানগরে যানজট নিরসন এবং বায়ু দূষন নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, গাড়ীর মালিকগন গাড়ী চালকদের সাথে ট্রিপ ভিত্তিক চুক্তি না করে পাক্ষিক এবং মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। টিকেট কাউন্টার ভিত্তিতে চালকগন গাড়ী চালাবেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি প্রাথমিকভাবে আব্দুল্লাহপুর হয়ে যে সকল গাড়ী ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করে এমন ২১টি পরিবহন কোম্পানীর গাড়ী কাউন্টার পদ্ধতিতে আগামী-৬ ফেব্রুয়ারী থেকে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।
তিনি বলেন, এখন থেকে গাড়ী কাউন্টার সিষ্টেমে চালাতে হবে এবং যাত্রীদেরকে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে গাড়ীতে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া গাড়ী দাড় করানো যাবে না এবং যাত্রী উঠানো যাবে না। এ বিষয়ে যাত্রী সাধারনকে অনুরোধ করা হলো নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে গাড়ীতে যাতায়াত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন, দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ।