আদালতজাতীয়
ট্রেন্ডিং

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যুতে ‘চিঠি’ লিখলেন দীপু মনি

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তারপর আত্মগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় থেকে মাঠপর্যায়ের নেতারাও। এরমধ্যেই গণহত্য, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিসহ অনেকে।

সোমবার সকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ অন্য আসামীদের সঙ্গে আদালতে তোলা হয় দীপু মনিকে। দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলার সময় কাঠগড়ার দাঁড়িয়ে ছিলেন আসামীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে বাঁ হাতে থাকা একটি টিস্যু পেপারে কলম দিয়ে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ‘চিঠি’ লেখেন দীপু মনি। পরে কাঠগড়ার সামনে দাঁড়ানো আইনজীবীর পোশাকে থাকা এক ব্যক্তির হাতে চিঠিটি তুলে দেন তিনি। ওই ব্যক্তি মোবাইল দিয়ে চিঠির ছবি তোলেন এবং টিস্যু পেপারটি বাঁ হাতে ভাঁজ করে রাখেন। চিঠির ছবি তোলা এবং সংরক্ষণের বিষয়টি ইশারায় দীপু মনিকে জানান তিনি।

তারা আরও জানান, দীপু মনি ওই ব্যক্তির কাছে চিঠি হস্তান্তরের পর সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক ও সালমান এফ রহমানের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন। তবে ওই চিঠিতে কী লেখা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এজলাসকক্ষের দাঁড়িয়ে শুনানি করছিলাম। সেখান থেকে কাঠগড়া কিছুটা দূরে। আদালতে অনেক আইনজীবী থাকায় চিঠি লেখা এবং হস্তান্তরের বিষয়টি নজরে আসেনি।

বিষয়টি নজরে আসেনি বলে দাবি করেছেন দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলামও। তিনি বলেন, জনার্কীর্ণ আদালতের সামনের দিকে ছিলাম আমি। শুনানি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, চিঠির বিষয়টি কিছু নজরে আসেনি।

এদিন যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দীপু মনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button