
ভুমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে উপদেষ্টার একান্ত সচিব মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাসায় সকলের সঙ্গে খাবার খেতে বসলে হঠাৎ করে স্যার পড়ে যান। এরপর ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।
এদিকে, আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তার প্রেস উইং জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে দুবাই থেকে ঢাকায় অবতরণের পরপরই উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি। প্রয়াত উপদেষ্টাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান প্রধান উপদেষ্টা।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।’
বাংলাদেশের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর কয়েক দশকব্যাপী দীর্ঘ জনসেবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর ও আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।