
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং বিশেষজ্ঞদের এমন মতামত উঠে এসেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানচেটের প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের যোগ্যতায় ঘাটতি ছিল। তার চেয়ে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন নেপালের প্রার্থী ছিলেন শম্ভু প্রসাদ আচার্য্য। কিন্তু পুতুলের মা শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। দুর্নীতিপরায়ণ প্র্যাকটিসের মাধ্যমে তার পদ নিশ্চিত করেছেন সায়মা ওয়াজেদ- এমন অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করছে দুদক।
ডব্লিউএইচও’র সাবেক পরিচালক মুকেশ কপিলা বলেছেন, সায়মা ওয়াজেদকে ঘিরে বিশ্বসংস্থাটির ভাবমূর্তিতে লেজেগোবরে অবস্থা দেখা দিয়েছে। শুধু এই অঞ্চলে নয়, বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে। এতে অবশ্যই সংস্থাটির বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা খর্ব করেছে। এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে চাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো মানুষদের খোরাক জুগিয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ বলেন, সংস্থার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো সদস্য দেশ দ্বারা বা তাদের ভিতরে অন্যায়ের অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষ যথার্থভাবে তদন্ত করতে পারে। এসব তদন্ত বা আইনগত বিষয়ে সংস্থা মন্তব্য করবে না।
শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পান। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় দুদক।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক আরও কিছু পরিচালকের বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মার্চে ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিকের আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই’কে বরখাস্তও করা হয়। ফলে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে সত্যতা মিললে একই পরিণত হতে পরে বলে ধারনা করা হচ্ছে।