
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারণা নয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন নিয়ে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি ধারণা দিয়েছেন উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ধারণা নয়, নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে।
তবে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা চায় দেশের জনগণ।
অতিদ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ভাষণে নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদেরকে যদি, আবার বলছি— ‘যদি’, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করে, আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।
এককথায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।