রংপুরে শৈত্যপ্রবাহে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

রংপুরে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন: বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ
শীত মৌসুমের শুরুতেই রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলসহ আশেপাশের এলাকার দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছেন। কনকনে ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে শীতজনিত রোগের প্রকোপও বাড়ছে।
শনিবার ভোর থেকে পুরো এলাকা ঢেকে যায় ঘন কুয়াশার চাদরে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। রাস্তায় যানবাহন চলতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের মীরবাগ কদমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোছা. আফরোজা পারভীনের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে কাউনিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন।
ঠান্ডার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, এবং ডায়রিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসাসেবা সীমিত হওয়ায় সমস্যাটি আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
শীতের প্রকোপে শুধু মানুষ নয়, গবাদিপশুর অবস্থাও সংকটাপন্ন। গরু, ছাগল ও মহিষের গায়ে চটের বস্তা ঝুলিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কৃষকরা। তবে পর্যাপ্ত গরম কাপড় ও সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় পশুরাও বিপদে রয়েছে।
উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ১৭টি গ্রামের মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি কিংবা বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা না থাকায় তাদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।