
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) হয়ে ঢাকায় এসেছেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং এবং পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেছেন রোববার (১৯ জানুয়ারি)।
এ সময় দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমৃদ্ধিশালী ও গণতান্ত্রিক পথ রচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাতের পর মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ এবং অগ্রাধিকার বিষয়ে আলোচনা করেন নতুন রাষ্ট্রদূত।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের আগের দিন ঢাকায় দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূতের এ বৈঠকগুলো তাৎপর্যপূর্ন হিসেবে দেখছে কূটনৈতিক মহল।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবাধিকার, শ্রম সংস্কার এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এতে আরও বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলোকে স্বীকৃতি এবং সমর্থনের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রণালয় জানায়, রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐ্যমত্য প্রতিষ্ঠায় অন্তবর্তী সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে স্থিতিশীল অর্থনীতি ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি অর্জনের বিষয়ে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।