অর্থনীতি
ট্রেন্ডিং

হাসিনার উচ্চ প্রবৃদ্ধির বয়ান পুরোটাই ‘ভুয়া’

এক-এগারোর পরিস্থিতির পর ক্ষমতায় এসে তিনটা বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে টানা সরকারে থেকে যান শেখ হাসিনা। এ সময় দেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করতেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, সাড়ে ১৬ বছরে শেখ হাসিনার প্রচার করা উচ্চ প্রবৃদ্ধির পুরোটাই ছিল ‘ভুয়া’।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

এতে শেখ হাসিনার সরকারের সময় তার ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে দোষারোপ করেছেন ড. ইউনূস।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা ১৫ বছর বাংলাদেশ শাসন করা শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতি এবং বিশাল পোশাক শিল্পের পুনরুজ্জীবনের পুরো কৃতিত্ব দাবি করতেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, গুম-খুন, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের শক্ত অভিযোগ রয়েছে। এগুলো তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এসব অপকর্মের কথা অস্বীকার করছে শেখ হাসিনা এবং তার দল।

এত দিন কেউই হাসিনার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি অভিযোগ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়ার জন্য পুরো বিশ্বই দায়ী। তাই হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

শেখ হাসিনার দাবি করা ‘প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সকলকে ছাড়িয়ে গেছি’— এটা পুরোটাই মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কেন ওই প্রবৃদ্ধিকে ভুয়া মনে করেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালে ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা প্রায় ৮ শতাংশে পৌঁছানোর দাবি করেছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বিশ্বব্যাংক। ২০১৫ সালে প্রথম দরিদ্রতম দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মর্জাদা অর্জনের তাকারে আসে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button