নারীদের জন্য ১০০ আসনের দাবি ড. বদিউল আলম মজুমদার

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারীদের ৫০ আসনকে “অপমানজনক” উল্লেখ করে, তা ১০০ আসনে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তবে তিনি জোর দিয়েছেন, এসব আসন সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়া উচিত।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘কেমন সংবিধান চাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. বদিউল আলম বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় সংরক্ষিত আসনগুলো টাকার বিনিময়ে কিনে নেওয়া হয়, যা নারীর মর্যাদাকে খর্ব করে। তিনি প্রস্তাব করেন:
জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৪০০ করা।
এর মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা।
এসব আসনে সরাসরি নির্বাচন আয়োজন করা, যাতে যোগ্য নারীরা নির্বাচিত হতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, নারীদের প্রতীকী অবস্থানে রেখে তাদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। প্রকৃত ক্ষমতায়নের জন্য সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিতে হবে।
তিনি সংবিধান সংশোধন নিয়ে বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানকে “কলুষিত” করেছে এবং এর এক-তৃতীয়াংশ পরিবর্তন করেছে। মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই, তাই এই অসঙ্গতিগুলো সংশোধন করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ড. বদিউল আলম বলেন, এটি ফিরিয়ে আনতে শুধু পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করলেই হবে না; এর জন্য সংসদীয় ভূমিকা প্রয়োজন।
তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায়ন ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু গণতন্ত্র সম্ভব নয়।
সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল হোসেন বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংবিধান কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং তা সংকট আরও বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে প্রকৃত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।