জাতীয়সরকার
ট্রেন্ডিং

হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির তদন্ত অগ্রাধিকার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতির তদন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজগুলো শুরু হয়েছে। আরও বিস্তারিত কার্যক্রম জানতে পারবেন। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি।

শেখ হাসিনার পরিবারের দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ সামনে দেখতে পারবেন। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটিতে আছে। উনি একটা চোরতন্ত্র এখানে জারি করেছিলেন। সেই চোরতন্ত্রে কারা কারা এই মহাচুরিতে জড়িত ছিলো এটা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়। তাদের জানানোটা আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব। উনি কী পরিমাণ চুরি করেছেন, সামনে সেটা অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের অর্থ পাচারের একটা ধারণা শ্বেতপত্রে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ মিলিয়ন ডলার প্রতি বছর পাচার হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আর ব্যাংকগুলো কীভাবে ডাকাতি হয়েছে আপনারা তো দেখেছেন। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে এটা তদন্ত করছি। তার সময়ে যত ধরনের চুরি হয়েছে। লুণ্ঠনতন্ত্র, চোরতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন. . । ইতিমধ্যে একটা রিপোর্ট এসেছে তার পিয়ন যেটা আগে উনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ৪০০ কোটি টাকা। পরে আমরা দেখেছি সেখান লেনদেন হয়েছে ৬২৮ কোটি টাকা।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের দিক থেকে লিগ্যাল প্রসেস খুব জোরেশোরে শুরু করছি। আইনের শাসন মানতে হলে তাকে তার সময়টা দিতে হবে। চাইলেও অনেক কিছু খুব দ্রুত আপনি করতে পারবেন না। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থার মধ্যে যতটা দ্রুত সম্ভব সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমরা বারবার বলছি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন চাই। সেই অনুযায়ী পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলেছেন। আপনারা আশা করবো যত দ্রুত সম্ভব তার প্রত্যাবর্তন হবে। শেখ হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হবেন।

শেখ হাসিনার অপরাধগুলো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধগুলো হয়েছে এটা তো চিন্তা করা যায় না। পুরো পৃথিবী হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে দেখছেন তার ক্রাইমটা কী ছিলো। প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক গুম হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে কয়েক হাজার লোক। জুলাই আগস্টে মারা গেছেন প্রায় ১৫-শ জনের মত লোক। কত ভয়ানক একটা বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এটা আঁতকে ওঠার মত।

সরকার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বলেন, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচার জননী অনেক ধরনের উন্নয়নের গল্প করেছেন কিন্তু দেশের অর্থনীতি সস্তা শ্রমের উপর নির্ভর ছিল। সেটা দেশ ও বিদেশে সস্তা শ্রম বিক্রি। গত সাড়ে তিন মাসে বিডার চেয়ারম্যান সাড়ে তিন হাজার সিইও-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সফরেও আসছেন বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি আশা করে দেশের অর্থনীতির বৈচিত্র্য আসবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button