কুরআন শরীফ ধরে কোনো কিছু বললে তা কি ওয়াদা হয়?

প্রশ্ন: কুরআন শরীফ ধরে কিছু বললে কি তা ওয়াদা বা শপথ হিসেবে গণ্য হয়? এবং যদি বলা সময় কুরআন হাতে থাকা কেবলই কাকতালীয় হয়, তাহলে কি সেই কথাটি মানা বাধ্যতামূলক?
উত্তর: ইসলাম ধর্মে যে কোনো ওয়াদা, অঙ্গীকার বা শপথ পূরণ করা বাধ্যতামূলক এবং এটি ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন ওয়াদা ভঙ্গ বা চুক্তি লঙ্ঘনকে মুনাফেকির আলামত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাই মুসলমানদের জন্য ওয়াদা পালন গুরুত্বপূর্ণ।
কুরআন শরীফ ধরে কোনো কিছু বললে সেটিকে সাধারণত একটি শপথ হিসেবে ধরা হয়, তবে যদি তা বৈধ কোনো বিষয়ে হয়, তাহলে তা পূরণ করা অবশ্যই বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। যদি তা পালন না করা হয়, তাহলে কাফফারা দিতে হবে।
তবে, যদি কুরআন শরীফ ধরার উদ্দেশ্য ছিল না, কেবলই হাতে ছিল, তাহলে তা শপথ হিসেবে গণ্য হবে কি না তা নির্ভর করবে বক্তার অভিপ্রায়ের ওপর। যদি বক্তব্য ওয়াদাসূচক হয়, তাহলে তা মানা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যদি তা কোনো ইচ্ছা প্রকাশের উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে মানা বাধ্যতামূলক নয়।
কসম এবং কাফফারা: ইসলাম অনুযায়ী কসম বা শপথ শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়, কুরআন বা অন্য কিছুর নামে শপথ করা উচিত নয়। তবুও, যদি কেউ কুরআন শরীফের নামে শপথ করে, তা শপথ হিসেবে কার্যকর হবে এবং এই শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা দেওয়া হবে। কাফফারা হলো দশজন গরীবকে দুইবেলা খাবার খাওয়ানো, অথবা কাপড় দেওয়া। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে একটানা তিন দিন রোজা রাখা।