
বিএনপি ও ছাত্রনেতা বা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিরোধ না থাকার ‘জানা আর বিশ্বাস’ হিসেবে চারটি কারণ তুলে ধরেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
চার কারণ হলো- বিএনপি ষড়যন্ত্র বা এক-এগারো ধরনের কিছুতে আগ্রহী নয়। ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না বা এতে যোগ দিতে যাচ্ছেন না। জুলাই ঘোষণাপত্র হবে একটি রাজনৈতিক দলিল এবং এটি প্রণয়নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মতামত আন্তরিকভাবে প্রতিফলনের ইচ্ছা ছাত্র নেতাদের রয়েছে। এবং বিএনপি ও ছাত্র নেতারা এমনকি নির্বাচন-কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার বিষয়েও অনাগ্রহী নন (এর ধরন ও ফর্মুলা আলোচনা সাপেক্ষে)।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির সঙ্গে ছাত্র নেতাদের (বা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে) কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত ও বেপরোয়া করে তুলতে পারে। তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েক দিনে পেয়েছি।
গত দুদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতাদের পলায়নের গুজবে ফেসবুক ছেয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই গুজবের উন্মত্ততায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা করার চেষ্টা করেছে— এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে আমার কাছে দু-একজন ফোন করেছেন, ঘটনা কী জানার জন্য।
আসিফ নজরুল বলেন, সবাইকে বরং বুঝতে হবে ঐক্য ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। গণহত্যাকারীদের দল আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে লুটের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা, অনেক অন্ধ স্তাবক ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক এবং তাদের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাশালী ভিন্ন রাষ্ট্র।
তিনি বলেন, এদেরকে রুখতে হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে মনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু তা বাংলাদেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হয়ে ওঠার পর্যায়ে যেন না যায়।