
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তার উন্নত চিকিৎসা হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধঢ়ায় এ তথ্য জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বিমানবন্দর থেকে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এর আগে বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘ ৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ হওয়ায় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগারের বদলে নিজ বাসায় থাকার শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে মামলাগুলো বাতিলের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের দোহা হয়ে যাত্রা বিরতি দিয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুলেল শুভেচছা জানায় যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাকে অভ্যর্থনা জানান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন গেছেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান ফিসার, এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিট খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপারেন্টের চিকিৎসা করার কথা রয়েছে। তার যাবতীয় চিকিৎসার কাগজপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ সেখানে পাঠানো হয়েছে।
নাগাদ খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন— জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি চিকিৎসকরা বলতে পারেন, আমরা বলতে পারি না। আমরা আশা করি, উনি চিকিৎসা শেষে খুব শিগগিই দেশে ফিরে আসবেন।