
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ১১৩ বার পেছানোর পর এবার তদন্ত থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানকে (র্যাব) সরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) এক রিট আবেদন শুনানীর পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ওই আদেশে ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে আদেশে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
মামলার বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
এর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে সম্পূরক আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন।