
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ কথা জানানো হয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীর সভাপতির অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপিত হবে। উৎসব দুটি ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, বড়দিনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে— প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।
এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা, চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, চার্চ এলাকায় ভাসমান দোকান বা হকার বসতে না দেওয়া এবং প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে যাওয়া যাবে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো এবং গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে।